পবিত্র নগরী মক্কায় রয়েছে বাইতুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর। একে কাবা শরিফ ও পবিত্র কাবাঘরও বলা হয়। প্রতি বছর কোটি কোটি মুসলিম হাজরে আসওয়াদের দিকে চেয়ে হাত তোলেন। জমজমের পানি পানের পাশাপাশি কাবা শরিফ তাওয়াফ করেন। পবিত্র এই কাবার বরকতে পৃথিবী স্থির হয়ে যায়। ধীরে ধীরে একে ঘিরে গোড়াপত্তন হয় মানবসভ্যতার। সেখানকার জমজম কূপের পবিত্রতম পানি সম্পর্কে প্রতিটি মুসলিমই জানেন। এটি কেবল একটি পানির উৎস নয়, বরং নবী ইবরাহিম (আ.) ও তার স্ত্রী হাজেরা এবং নবী ইসমাইল (আ.)-এর কাহিনির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন।
কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হলো-জমজমের পাশাপাশি কাবাতেও রয়েছে আরেকটি বিশেষ ও পবিত্র পানির উৎস, যা হাজার বছরের বেশি সময় ধরে পরিমিত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। তবে মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ এর খবর জানেন না। কারণ এটি ব্যাপকমাত্রায় আলোচিত হয়নি এবং পরিমাণে খুবই সীমিত।
কাবাঘরের ছাদের আয়তন ১,৩০৬ বর্গফুট। এই ছাদে ঝরে পড়া বৃষ্টির পানি ধরার জন্য কাবা শরিফের উত্তর-পশ্চিম কোণে একটি বিশেষ নকশা চোখে পড়ে যা ‘মিজাবুর রহমান’ নামে পরিচিত যার অর্থ ‘আল্লাহর রহমতের নল’ বা ‘ঝর্ণা’। এটি একটি সোনালি নকশাদার নালা বা পাইপ, যা কাবার ছাদ থেকে পানি নিচের দিকে নিয়ে আসে। শত শত বছর ধরে মরুময় এই শহরটিতে যখনই বৃষ্টি নামে, সেই পানি জমে এই নালা বা পাইপের মাধ্যমে নিচে পড়ে। কাবার এ পানিকে মুসলিমরা পবিত্র বলে মনে করেন।








