স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত, কর্মচারিদের হেনস্থা ও বিদ্যালয়ের জানালা ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকাল সোয়া ৪টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া লিটন বলেন, গত শনিবার (৮ নভেম্বর) উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাওসার ও তার সহযোগী মনির, দুলালসহ ২০ জন স্কুল প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে শিক্ষকদের স্কুল কক্ষে অবরুদ্ধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি তারা বিভিন্ন জানালা ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত বিচার চাই।
প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কিছু কুচক্রি মহল স্কুলের সুনাম নষ্ট করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় একটি মহল গত ৮ তারিখে স্কুলের গেট ভেঙে প্রবেশ করে আমাদের অবরুদ্ধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমাদের মারধর করারও তারা চেষ্টা করে। এমনকি তারা জানালা ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। আমরা প্রশাসেনর কাছে এর উপযুক্ত বিচার চাই।
স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল বাতেন বলেন, স্কুলের ম্যানিজিং কমিটির সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানের অকেজো লোহা ও আসবাবপত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। গত ৮ তারিখে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে আমরা এই মাল বিক্রি করি। কিন্তু স্থানীয় কাওসার বাহিনী এতে বাধা দেই ও প্রতিষ্ঠানে আমাদের অবরুদ্ধ করে গালিগালাজ করে। এছাড়া তারা জানালা ভাঙচুর করে। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সাদিপুর ইউনিয়নের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, ইউনিয়ন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মাসুম ভূঁইয়া, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু বকর, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এরশাদ প্রধান, বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী এবং কর্মচারিরা।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে স্কুল ম্যানিজিং কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয় প্রতিষ্ঠানের অকেজো লোহা ও নষ্ট আসবাবপত্র বিক্রি করা হবে। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলতি মাসের ৮ তারিখে সর্বোচ্চ দরদাতা মহাসিনের নিকট এক লাখ সাইত্রিশ হাজার চুয়ান্ন টাকায় (১,৩৭,৫৪ টাকা) বিক্রি করা হয়। কিন্তু উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের পছন্দের দরদাতা না হওয়ায় তিনি এতে ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে কাওসার ও তার সহযোগী মনির, দুলাল ও সাহেদসহ ২০ জন বিক্রিতে বাধা প্রদান করে। এছাড়া শিক্ষকদের ওপর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৮ তারিখে স্কুলে অবরুদ্ধ করে রাখে। এমনকি স্কুলের জানালা তারা ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ এসে শিক্ষকদের উদ্ধার করেন।








