স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমিনুল ইসলাম (৩৫) নামে এক জামায়াত কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওয়াজকুরুনী নামে এক বিএনপি নেতা ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে জামায়াত কর্মী গুরতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
বুধবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী গ্রামে ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জামায়াত কর্মী আমিনুল একজন পোল্ট্রি (মুরগী) ব্যবসায়ী। তিনি মানুষকে বিভিন্ন সময় জামায়াতের ইসলামীর পক্ষে কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। ঘটনার দিন রাতে দোকানে বসে অন্যদের জামায়াতের দাওয়াত দেওয়াকালে একই এলাকার বিএনপি নেতা ওয়াজকুরুনী ও তার সহযোগিরা এটি সহ্য করতে পারিনি। পরে আমিনুলকে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায়। জামায়াত কর্মী আমিনুলের মাথায় দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে কোপ দিলে সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ওয়াজকুরুনী তার লোকজনদের নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াত কর্মী আমিনুল বলেন, আমি বিভিন্ন সময় কাজের ফাঁকে ফাঁকে মানুষকে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াত দিতাম। কিন্তু জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা যিনি এখন বিএনপি নেতা সেজে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছেন। সে কখনো ইসলামকে সহ্য করতে পারে না। এলাকায় সে নেশা করে এটা সবাই জানে। আমি জামায়াত করি বিধায় হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বুধবার রাতে আমার ওপর আক্রমণ চালায় ওয়াজকুরুনি ও তার সহযোগিরা। কিন্তু এলাকাবাসীর সহায়তায় আমি প্রাণে বেঁচে যাই। আমি সোনারগাঁ থানায় জিডি করেছি এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওয়াজকুরুনীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনার সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) মো. রাশেদ বলেন, আমি থানার বাইরে ছিলাম। অভিযোগ হয়েছে কিনা জানি না। তবে তাদেরকে বলিছি অভিযোগ দিতে।








