আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে ঘিরে স্থানান্তর বাজারে চলছে নানা গুঞ্জন। কখনো শোনা যাচ্ছে, ইউরোপীয় ফুটবলের ইতি টেনে তিনি পাড়ি জমাবেন সৌদি প্রো লিগে; আবার তাঁর নাম জড়িয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গেও। এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছে ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) নাম।
অ্যাস্টন ভিলা ছাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় আছেন মার্তিনেজ। সৌদি আরবের কয়েকটি ক্লাব আগ্রহ প্রকাশ করলেও ৩২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের নাকি ইউরোপ ছাড়ার তেমন ইচ্ছে নেই। তাঁর বিশ্বাস, ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ে এখনো নিজের জায়গা ধরে রাখার মতো সামর্থ্য রয়েছে।
এই আত্মবিশ্বাসের বাস্তবতাও রয়েছে। কারণ, ইউনাইটেডের মতো বড় ক্লাব তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। আন্দ্রে ওনানার পরিবর্তে নতুন গোলরক্ষক খুঁজছে ক্লাবটি, আর মার্তিনেজ সেই তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে মার্তিনেজকে স্থায়ীভাবে দলে টানা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য সহজ হবে না। ফুটবল ইনসাইডারের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইউনাইটেড তাঁকে ধারে নিতে অ্যাস্টন ভিলাকে প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে ভিলা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।
অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের চুক্তি চলবে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত। তবে ক্লাবটি এই মৌসুমে তাঁকে বিক্রি করে তরুণ কোনো গোলরক্ষক আনার পরিকল্পনা করছে। ক্লাবের সূত্র ধরে ব্রিটিশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভিলা মার্তিনেজের জন্য প্রায় ৪ কোটি ডলারের দলবদল ফি চায়। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এখন পর্যন্ত সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি।
অন্যদিকে, মার্তিনেজের সম্ভাব্য দলবদলের খবর নতুন মোড় নিয়েছে। চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) তাঁকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ফরাসি ক্লাবটির অর্থনৈতিক দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই, তাদের কেবল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়াই বাকি।
ফুটবল সম্পর্কিত ওয়েবসাইট গোল জানিয়েছে, পিএসজি তাদের বর্তমান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে। তাই বিকল্প হিসেবে মার্তিনেজকে দলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে তারা।
আবার মার্তিনেজ পিএসজিতে গেলে হয়তো দোন্নারুম্মা পিএসজি ছেড়ে যাবেন। সে ক্ষেত্রে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দোন্নারুম্মাকে পেতেও আগ্রহী হতে পারে।
আর কিছুই যদি না হয়, তখন হয়তো ভিলা চাইবে যেভাবেই হোক, মার্তিনেজকে সৌদির কোনো ক্লাবের কাছে বিক্রি করে দিতে। তাতে মার্তিনেজের মন না-ও ভরতে পারে। তবে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঠিকই ফুলে-ফেঁপে উঠবে—সেই নিশ্চয়তা থাকছেই।







